বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বপ্ন দেখাচ্ছে সোহেলের মাল্টা 

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২০ ০৯:১৮

দুই বিঘায় মাল্টা চাষে সফলতা পাওয়ার পর এখন নয় বিঘায় চাষ করছেন সোহেল। সেখানে মাল্টার সঙ্গে চায়না জাতের কমলাও লাগিয়েছেন তিনি।

মেহেরপুর সদরে দুই বিঘা জমিতে সাড়ে তিন বছর আগে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ শুরু করেন সোহেল আহম্মেদ। চারা রোপণের দুই বছরের মাথায়ই প্রতিটি গাছ ভরে যায় মাল্টায়।

দুই বিঘায় মাল্টা চাষে সফলতা পাওয়ার পর এখন নয় বিঘায় চাষ করছেন সোহেল। সেখানে মাল্টার সঙ্গে চায়না জাতের কমলাও লাগিয়েছেন তিনি।

তার  মাল্টার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকায়ও। অনেক চাষীই নিজেদের আম, কাঁঠালের বাগান কেটে মাল্টায় দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন।

সিলেটের বাংলাদেশ মেট্রোপলিটিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েেন্সর সহকারী অধ্যাপক সোহেল আহম্মেদ জানিয়েছেন, কৃষি বিষয়ক কর্মশালা থেকে তিনি মাল্টা চাষ পদ্ধতি বিষয়ে জানেন। সেখান থেকেই তিনি মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে বারি-১ জাতের কলম সংগ্রহ করেন।

তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামে নিজের এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে মাল্টার কলম রোপণ করেন। রক্ষণাবেক্ষণকারীর মাধ্যমে দিনে দিনে গড়ে তোলেন মাল্টার বড় বাগান।

সিলেটে কর্মস্থলে থেকেই ফোনে তিনকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি চাষাবাদ পরিচালনা করেন।

স্থানীয় সবজিসহ আম-কাঁঠালের চাষীরা জানান, সোহেলের বাগানের মাল্টার স্বাদ অন্যরকম। প্রাপ্ত বয়স্ক একটি গাছে বছরে ৪০ কেজির বেশি মাল্টা ধরে। এই মাল্টা বিক্রি করতে কোথাও যেতে হয় না। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে বাগান থেকে কিনে নিয়ে যান। প্রতিমণ মাল্টা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৬শ টাকায়। গাছে গাছে স্বাদের মাল্টা দেখে এলাকার অনেক চাষী মাল্টা উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

আম, লিচু ও কাঁঠালের বাগান থেকে বছরে একবার ফল পাওয়া যায়, আর মাল্টার ফলন সারা বছর। কৃষকরা জানান, সোহেলের সুস্বাদু মাল্টার বাগান দেখে এলাকার অনেকেই আম, লিচু ও  কাঁঠালের বাগান কেটে মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তারা মাল্টা চাষ করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন।

সোহেল আহম্মেদ জানান, যে কোনো ফসলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাভজনক মাল্টা চাষ। এক বিঘা জমির বাগান থেকে বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি সম্ভব। খরচের তুলনায় বেশি লাভ হওয়ায় আগামী বছর আরো কয়েক বিঘা জমিতে তিনি ফলন বাড়াবেন।

মাল্টা বাগানে প্রায়ই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অনেকসময় কীটনাশকে কাজ হয় না। রোগবালাইয় রোধে কৃষি বিভাগের যথাযথ সহায়তা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন সোহেল আহম্মেদ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সহযোগিতায় তৎপর রয়েছেন। মেহেরপুরের মাটি মাল্টা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা নতুন নুতন মাল্টা বাগান তৈরি করছে। তারা মাল্টা থেকে ভালো লাভ পাচ্ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর